স্টাফ রিপোর্টার:জনপ্রশাসন এবং মাঠ প্রশাসনের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা কমর্চারীদের অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন সম্পর্কে জনপ্রশাসন কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ/কার্যক্রম সম্পর্কে উন্মুক্ত আলোচনা হয়েছে। বুধবার (৭মে) বিকাল ৫টা ১৫মিনিটে সমিতির অফিস কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্বে ছিলেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি জনাব মো. নুরুল ইসলাম।
আলোচনায় সকল বক্তাগণ জনপ্রশাসন কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। প্রত্যেকেই বলেন যে, জনপ্রশাসন এবং মাঠ প্রশাসনের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা কমর্চারীদের নিয়োগ বিধিমালা কখনও এক হতে পারে না। আমরা অনেকেই আমাদের পরবর্তী জেনারেশনের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মাঠ প্রশাসনের চাকুরি ছেড়ে সচিবালয়ে চাকুরিতে প্রবেশ করেছি। এখন নিয়োগ বিধি একীভূত করে একটি কুচক্রী মহল আমাদের সকলকে বিব্রত অবস্থায় পতিত করার একটা পাঁয়তারা চলতেছে। এতে করে সচিবালয়ে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে।
উপস্থিত সকলে আরও বলেন যে, প্রয়োজনে নিজেদের মধ্যে সকল ভেদাভেদ ভুলে নির্বিশেষে সকলে মিলে এক প্লাটফরমে এসে জোড়ালো আন্দোলন গড়ে তুলা হবে। কারণ অভিন্ন নিয়োগ বিধি হলো একটা কালো আইন/বিধি। এ বিধি দিয়ে কর্মচারীদের উপর মানসিক নির্যাতনের একটা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হবে। আমরা কোনোভাবেই এটা মেনে নিবো না। যে কোনো মূল্যে এটা প্রতিহত করতে হবে বলে সকলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এছাড়া অনেকেই বলেন যে, বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ার খবরে দেখি ২০ দিনের নোটিশে চাকুরিচ্যুত করা হবে কখনও দেখি ৮ দিনের নোটিশে চাকুরিচ্যুত করা হবে। বাস্তবে বিষয়টি হলো পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের অনেক সুবিধাভোগী আমলারা তাদের অপকর্ম আড়াল করতে এবং নির্বিচারে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে খুব দ্রুত গতিতে এ কমিটি গঠন করে অভিন্ন নিয়োগ বিধি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। এটা বতর্মানে সরকারকে একটি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার অপচেষ্টা মাত্র।
সভায় বক্তব্য রাখেন সংযুক্ত পরিষদের মহাসচিব জনাব মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল হাসনাত, যুগ্ম-মহাসচিব সহিদুর রহমান সহিদ, সহসভাপতি জাকির হোসেন, প্রচার সম্পাদক মো: মোফাছ্ছেল হোসেন নির্বাহী সদস্য নাজমুল হক, আসাদুর রহমান আসাদ ও নাদিমসহ আরো অনেকে।